সুস্থ থাকার দৈনন্দিন রুটিন
দৈনন্দিন জীবনে সুস্থ থাকার জন্য দৈনন্দিন রুটিন টা খুবই জরুরী। প্রতিদিনের রুটিন অনুযায়ী জীবন যাপন করলে শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকা সম্ভব। তাই আমাদের আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন সুস্থ থাকার দৈনন্দিন রুটিন, সুস্থ থাকা ১০ টি উপায়, শরীর সুস্থ রাখার খাবার তালিকা, সকালে খালি পেটে কি খেলে শরীর ভালো থাকে,শরীর ফিট রাখার 10 টি উপায়,সুস্থ থাকার জন্য করণীয় সম্পর্কে।
আমরা আজ এই আর্টিকেলে আলোচনা করব সুস্থ থাকার দৈনন্দিন রুটিন
সুস্থ থাকার দৈনন্দিন রুটিন
দৈনন্দিন জীবনে কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে সহজেই সুস্থ থাকা যায়। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে যদি রুটিন অনুযায়ী কাজ করা হয়। তাহলে শরীর এবং মন দুটোই সুস্থ থাকে।
১.প্রতিদিন সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা।
২.সকালে ঘুম থেকে উঠে শারীরিক চর্চা বা শারীরিক ব্যায়াম করা বা হাঁটা।
৩.সকালের নাস্তা ৮ টা থেকে ৯ টার মধ্যে করা।
৪.দুপুর ১ টা থেকে ২ টার মধ্যে দুপুরের খাবার খাওয়া।
৫.রাতে ৭ টা থেকে ৮ টার মধ্যে রাতের খাবার খাওয়া।
৬.প্রতিদিনের খাবার তালিকায় পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার রাখা।
৭.প্রত্যেকবার খাবারের পরে হাটাহাটি করা।
৮.প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করা।
৯.রাতে ঘুমানোর আগে হালকা শারীরিক চর্চা বা ব্যায়াম করা।
১০.রাতে সঠিক সময়ে ঘুমানো।
উপরোক্ত কাজগুলো দৈনন্দিন জীবনের রুটিন অনুযায়ী করলে শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকা সম্ভব।
সুস্থ থাকার ১০ টি উপায়
দৈনন্দিন জীবনে ১০ টি উপায় অবলম্বন করলেই সহজেই সুস্থ থাকা যায়। নিচে ১০ টি উপায় গুলো দেওয়া হলঃ
১.প্রতিদিন সকালে শারীরিক চর্চা বা ব্যায়াম করা।
২.প্রতিদিনেরখাবার তালিকায় পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাবার রাখা।
৩.সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া।
৪.প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা।
৫.ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা।
৬.অলসতা বা অতিরিক্ত শুয়ে বসে থাকা কমানো।
৭.খাবার খাওয়ার পরে সাথে সাথে শুয়ে না পড়া।
৮.অতিরিক্ত মানসিক টেনশন বা চাপ না নেওয়া।
৯.ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করা।
১০.রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া।
উপরোক্ত দশটি উপায় যদি প্রতিদিন নিয়ম অনুযায়ী মেনে চলা যায় তাহলে সহজেই শরীর সুস্থ রাখা যায়।
শরীর সুস্থ রাখার খাবার তালিকা
শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিনের খাবার তালিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবারের মাধ্যমে শরীরকে সবথেকে বেশি সুস্থ রাখা সম্ভব। তাই নিতে শরীর সুস্থ রাখার খাবার তালিকা দেওয়া হলোঃ
১.প্রতিদিনের খাবার তালিকায় প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি রাখতে হবে।
২.প্রতিদিনের খাবার তালিকায় ভিটামিন প্রোটিন ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় খাবার রাখতে হবে।
৩.অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।
৪.অতিরিক্ত ফাস্টফুড এবং কোল্ড ড্রিংকস পরিহার করতে হবে।
৫.খাবার তালিকায় টাটকা ফলমূল রাখতে হবে।
৬.খাবার তালিকায় চর্বিহীন মাংস রাখতে হবে।
৭.খাবার তালিকায় আঁশযুক্ত ও ফাইবার যুক্ত খাবার রাখতে হবে।
সকালে খালি পেটে কি খেলে শরীর ভালো থাকে
শরীর সুস্থ রাখার জন্য সকালের খাবারটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কি কি খাবার খেলে শরীর সুস্থ থাকে তার তালিকা নিচে দেওয়া হলঃ
১.সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়া যেতে পারে। খেজুর শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
২.সকালে খালি পেটে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এতে করে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমে যাবে সাথে সাথে শরীর সুস্থ থাকবে।
৩.সকালে খালি পেটে বিভিন্ন ধরনের বাদাম খাওয়া যেতে পারে। বাদাম শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে যার ফলে শরীর সুস্থ থাকে।
৪.সকালে খালি পেটে ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া যেতে পারে। যেমন সকালে খালি পেটে ওটস খেলে শরীরে পুষ্টিগুণের চাহিদা পূরণ করে।
৫.সকালে খালি পেটে সি এস ইট খাওয়া যেতে পারে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি এসিড থাকে। যা শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে।
শরীর ফিট রাখার 10 টি উপায়
সুস্থ থাকার জন্য শরীর ফিট রাখাটা খুবই জরুরী। শরীর ঠিক রাখার জন্য কয়েকটি উপায় নিচে দেওয়া হলঃ
১.সকালে ঘুম থেকে উঠে দৌড়ানো বা শারীরিক চর্চা বা ব্যায়াম করা। শারীরিক ফিটনেস ধরে রাখার জন্য শারীরিক চর্চা বা ব্যায়াম করা খুবই জরুরী।
২.একসাথে বেশি খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে বারবার খাবার খাওয়া।
৩.পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা।
৪.প্রতিদিনের খাবার তালিকায় ফাইবার যুক্ত খাবার রাখা । এতে করে শরীরে পুষ্টি যোগাবে এবং শরীর ঠিক রাখতে সাহায্য করবে।
৫.রাতে ভারী খাবার না খাওয়া।কারণ রাতে ভারী খাবার খেলে খাবারটা শরীরে শোষণ করে নেয় ।যার ফলে অতিরিক্ত মেদ চর্বি বেড়ে যায়।
৫.পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো।শরীর ফিট রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো টা খুবই জরুরী।
৬.বাইরের অতিরিক্ত ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার বা সফট ড্রিঙ্ক জাতীয় খাবার পরিহার করা।
৭.প্রতিদিনের খাবার তালিকায় বিভিন্ন ধরনের আমন্ড বা বাদাম জাতীয় খাবার রাখা। এতে করে শরীর ঠিক থাকে ।
৮.খাবার খাওয়ার সময় খাবার সময় নিয়ে চিবিয়ে খাওয়া। কারণ খাবার চিবিয়ে না খেলে খাবারটাও হজম হতে সময় নেয়।
৯.অতিরিক্ত চিনি জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা। কারণ চিনি শরীরে সুগার বা চর্বি বাড়াতে সাহায্য করে।
১০.সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামার অভ্যাস করা এতে করে শরীর ঠিক থাকে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
উপরোক্ত কাজগুলো যদি দৈনন্দিন জীবনে করা হয়। তাহলে সহজেই শরীরকে ফিট রাখা যায় এবং শরীর ঠিক থাকলে সুস্থ থাকা যায়।
সুস্থ থাকার জন্য করণীয়
সুস্থ থাকার জন্য করণীয় কি আমাদের আজকের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন । শরীর সুস্থ থাকার জন্য কি কি করণীয় বা কি কি খাবার খাওয়া উচিত এবং দৈনন্দিন জীবনে শরীর সুস্থ রাখার জন্য রুটিন অনুযায়ী কিভাবে জীবন যাপন করা উচিত সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
সর্বোপরি শরীর সুস্থ থাকলেই শারীরিক বা মানসিকভাবে সুস্থ থাকা যায়। শরীর সুস্থ রাখার আরেকটি অন্যতম উপায় হলো মানসিক চাপ বা টেনশন থেকে দূরে থাকা। তাই আমাদের সবারই দৈনন্দিন জীবনে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলা উচিত যার কারণে শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকা যায়।
Post a Comment
0Comments