গর্ভাবস্থায় গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়

Pathology Knowledge
By -
0

গর্ভাবস্থায় গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়


বেশিরভাগ মহিলারা গর্ভাবস্থায় প্রচন্ড গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগে থাকেন।কিন্তু গর্ভাবস্থায় কিভাবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করা যায় সে সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। তাই আমাদের আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন গর্ভাবস্থায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কেন হয়, গর্ভাবস্থায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার লক্ষণ, গর্ভাবস্থায় গ্যাস্টিক দূর করার উপায়, গর্ভাবস্থায় খালি পেটে থাকলে কি হয়, গর্ভাবস্থায় পেট শক্ত হয় কেন, গর্ভাবস্থায় গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাওয়া যাবে কি এবং গর্ভাবস্থায় স্যালাইন খাওয়া যাবে কি সর্ম্পকে।


গর্ভাবস্থায় গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়


আমরা আজ এই আর্টিকেলে আলোচনা করব গর্ভাবস্থায় গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়



গর্ভাবস্থায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কেন হয়


বিভিন্ন কারণে গর্ভাবস্থায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিচে কারণগুলো দেওয়া হলঃ


১.গর্ভাবস্থায় শরীরে প্রচেষ্টারন তৈরি হয়। যার ফলে অন্ত্রের পেশী গুলো ধীর গতিতে কাজ করে। যার ফলে খাবার গুলো হজম করতে দেরি হয়। আর এজন্য গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সৃষ্টি হয়।


২.গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।


৩.গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।


গর্ভাবস্থায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার লক্ষণ


১.পেট ও বুক জ্বালাপোড়া করা।


২.পেটে ব্যথা হওয়া।


৩.কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দেখা দেওয়া।


৪.পেট ফাঁপা হওয়া।


৫.বমি হাওয়া বা বমি বমি ভাব হওয়া।


৬.অতিরিক্ত হেঁচকি বা ঢেকুর তোলা।


 গর্ভাবস্থায় গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়


১.প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করা।


২.আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া।


৩.আদা খাওয়া।


৪.লেবু পানি পান করা।


৫.মেথি খাওয়া।


৬.একবারে বেশি না খেয়ে অল্প অল্প করে বারবার খাওয়া।


৭.খাওয়ার পর কোন থেকে বিশ মিনিট হাঁটা।


৮.দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকা।


গর্ভাবস্থায় খালি পেটে থাকলে কি হয়


গর্ভাবস্থায় খালি পেটে থাকলে গর্বের সন্তানের ওপর প্রভাব পড়তে পারে।


১.গর্ভাবস্থায় খালি পেটে থাকলে গর্ভের সন্তানের ওজন কম হতে পারে।


২.গর্ভাবস্থায় বেশিক্ষণ খালি পেটে থাকলে গর্বের সন্তানের মানসিক বিকাশ বা বুদ্ধি কম হতে পারে।


৩.গর্ভাবস্থায় খালি পেটে থাকলে গর্বের শিশু জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মগ্রহণ করতে পারে।


৪.গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস খুবই রিস্ক। এ সময় বেশিক্ষণ খালি পেটে থাকলে অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যার কারণে মিসকারেজ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।


গর্ভাবস্থায় পেট শক্ত হয় কেন


গর্ভাবস্থায় গর্ভের শিশু বাড়ার সাথে সাথে জরায়ু প্রসারিত হতে থাকে। যার ফলে চারপাশে চাপ সৃষ্টি হয়। এজন্য অনেক সময় পেট শক্ত হতে পারে। এছাড়াও গর্ভাবস্থায়  অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা দেখা দিলে পেট শক্ত হয়ে যেতে পারে। গর্ভাবস্থায়  শেষের দিকে বাচ্চা নড়াচড়া কম করলে পেট শক্ত হয়ে যেতে পারে।


গর্ভাবস্থায় গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাওয়া যাবে কি


গর্ভাবস্থায় গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাওয়া যাবে কিনা এই প্রশ্নটা সবার মনে কম বেশি দেখা দেয়। হ্যাঁ, গর্ভাবস্থায়  গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাওয়া যায়। তবে গর্ভাবস্থায় যেকোনো ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।


গর্ভাবস্থায় স্যালাইন খাওয়া যাবে কি


হ্যাঁ, গর্ভাবস্থায় স্যালাইন খাওয়া যায়। গর্ভাবস্থায় যদি ডায়রিয়া সমস্যা দেখা দেয় তাহলে এ সময় শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয়। যার জন্য চিকিৎসক স্যালাইন বা তরল জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।



সর্বোপরি গর্ভাবস্থায় শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যার মধ্যে একটি সমস্যা হল গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। এ সমস্যা সমাধান না করলে পরবর্তীতে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করে। তাই আমাদের গর্ভাবস্থায় নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে এবং সুস্থ থাকতে হবে।
Tags:

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)