ঘামাচি দূর করার প্রাকৃতিক উপায়
গ্রীষ্ম মৌসুম এলে প্রায়ই কম বেশি সবারই ঘামাচি সমস্যা দেখা দেয়। আর এই সমস্যাটা আমাদের জনজীবনকে বিভ্রান্তিতে ফেলে দেয়। তাই আমাদের আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন ঘামাচি কেন হয়,ঘামাচি হলে প্রতিরোধের উপায়, ঘামাচি দূর করার প্রাকৃতিক উপায়, ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো, ঘামাচি মারার সাবান এবং ঘামাচির ঔষধের নাম সম্পর্কে।
আমরা আজ এই আর্টিকেলে আলোচনা করব ঘামাচি দূর করার প্রাকৃতিক উপায়
ঘামাচি কেন হয়
আমাদের শরীরে বিভিন্ন গ্রন্থির মধ্যে ঘর্মগ্রন্থি বা ঘামগ্রন্থি একটি। এই ঘামগ্রন্থির মুখ যখন বন্ধ হয়ে যায়। তখন শরীরে ঘামের পরিমাণ বেড়ে যায়। যার ফলে ঘামাচি সমস্যা দেখা দেয়।এছাড়াও শরীরে ঘামাচি হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাব।শরীরে যদি অতিরিক্ত ময়লা জমে লোমকূপ বন্ধ হয়ে যায় তাহলে শরীরে প্রচন্ড ঘামের কারণে ঘামাচি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ঘামাচি হলে প্রতিরোধের উপায়
১.সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাপড় পরিধান করতে হবে।
২.প্রতিদিন সাবান দিয়ে গোসল করতে হবে।
৩.ঢিলে ঢালা পোশাক পরিধান করতে হবে।
৪.অতিরিক্ত শরীর যেন না ঘামিয়ে যায় তার জন্য শীতল জায়গায় থাকতে হবে।
৫.ঘামাচি দূর করার জন্য টেলকম পাউডার বা ঘামাচি প্রতিরোধক পাউডার ব্যবহার করতে হবে।
৬.শরীর অতিরিক্ত ঘেমে গেলে সাথে সাথে শুকনা কাপড় বা রুমাল দিয়ে মুছে নিতে হবে।
ঘামাচি দূর করার প্রাকৃতিক উপায়
শরীরে ঘামাচি সমস্যা দেখা দিলে প্রাকৃতিক বা ঘরোয়া উপায়ে কামাতে দূর করা যেতে পারে।
১.নিম পাতাঃ ঘামাচির সমস্যা দূর করার জন্য নিম পাতা খুবই কার্যকরী একটি ঘরোয়া উপায়। নিমপাতা বেটে শরীরে লাগালে ঘামাচির সমস্যা কমে যেতে পারে।
২.স্যাভলনঃ শরীরে ঘামাচির সমস্যা দেখা দিলে স্যাভলন পানির সাথে মিশিয়ে আক্রান্ত জায়গায় লাগালে ঘামাচি সমস্যা কমে যেতে পারে।
৩.অ্যালোভেরা ও হলুদঃ ঘামাচির সমস্যা দূর করার জন্য অ্যালোভেরার হলুদের মিশ্রণ খুবই কার্যকরী। এলোভেরা ও হলুদ একসাথে মিশিয়ে আক্রান্ত জায়গায় লাগালে আমাদের সমস্যা কমে যেতে পারে ।
৪.বেকিং সোডাঃ ঘামাচি সমস্যা অতিরিক্ত দেখা দিলে বেকিং সোডা পানির সাথে মিশিয়ে লাগালে ঘামাচি মরে যায়। যার ফলে আমাকে সমস্যা কমে যেতে পারে।
৫.বরফ বা ঠান্ডা পানিঃ অতিরিক্ত ঘামাচির সমস্যা দেখা দিলে আক্রান্ত স্থানে ঠান্ডা পানি বা বরফ লাগালে ঘামাচি সমস্যা কমে যেতে পারে।
৬.বৃষ্টির পানিঃ অনেক সময় ঘামাচি সমস্যা দেখা দিলে বৃষ্টিতে ভিজে ঘামাচি মরে যেতে পারে। যার ফলে ঘামাচি সমস্যা কমে যেতে পারে।
৭.মুলতানি মাটিঃ শরীরের ঘামাছি সমস্যা দূর করার জন্য মুলতানি মাটি খুবই উপকারী। ঘামাচি সমস্যা দেখা দিলে মুলদানী মাটি আক্রান্ত জায়গায় লাগালে সমস্যা কমে যেতে পারে।
ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো
বাজারে বিভিন্ন ধরনের ঘামাচি প্রতিরোধক মূলক পাউডার পাওয়া যায়। ভালো ব্রান্ডের পাউডার ঘামাচি প্রতিরোধক হিসেবে ভালো কাজ করে । নিচে পাউডার গুলোর নাম দেওয়া হলোঃ
১.ঘামাচি পাউডার
২.মিলাদ ঘামাচি পাউডার
৩.আইসকুল ঘামাচি পাউডার
৪.কিউট ঘামাচি পাউডার
৫.মেরিল ঘামাচি পাউডার
৬.টেলকম ঘামাচি পাউডার
ঘামাচি মারার সাবান
বাজারে বিভিন্ন ধরনের সাবান পাওয়া যায়। তবে ঘামাচির জন্য ডেটল, স্যাভলন, পিকলি হিট সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে। এই সাবান গুলা শরীরে ঘামাচি মারার কাজে সাহায্য করে।এই সাবান গুলো দিয়ে প্রতিদিন গোসল করলে ঘামাচি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
ঘামাচির ঔষধের নাম
শরিরে ঘামাচি সমস্যা কমানোর জন্য নির্দিষ্ট কোন ওষুধ নাই। ঘামাচি সমস্যা দেখা দিলে বিভিন্ন ধরনের ঘামাচি প্রতিরোধক পাউডার বা লোশন ব্যবহার করলে বা ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করলেই ঘামাচি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
সর্বোপরি গরম আসলেই প্রায় প্রত্যেকটা মানুষের শরীরেই কম বা বেশি ঘামাচি সমস্যা দেখা দেয়। আর এই ঘামাচি সমস্যা পরবর্তীতে শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই আমাদের সবসময় ঘামাচি প্রতিরোধ করার জন্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
Post a Comment
0Comments