সিরাম আইজিই টেস্ট কেন করা হয়

Pathology Knowledge
By -
0

 সিরাম আইজিই টেস্ট কেন করা হয়


বর্তমান বাংলাদেশের প্রায় অধিকাংশ মানুষই এলার্জি চুলকানি বা চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিভিন্ন কারণে শরীরে এলার্জি সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

এই এলার্জির সনাক্তকরণের জন্য বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। তার মধ্যে একটি হলো সিরাম আইজিই টেস্ট। এই টেস্টের মাধ্যমে এলার্জির পরিমাণ সঠিকভাবে জানা যায়। তাই আমাদের আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন সিরাম আইজিই টেস্ট কি, সিরাম আইজিই টেস্ট কেন করা হয়, আইজিই বেশি হলে কি হয়, আইজিই কমানোর উপায়, সিরাম আইজিই এর স্বাভাবিক পরিসীমা এবং  সিরাম আইজিই টেস্ট খরচ কত বাংলাদেশে সম্পর্কে ।


সিরাম আইজিই টেস্ট কেন করা হয়


আমরা আজ এই আর্টিকেলে আলোচনা করব সিরাম আইজিই টেস্ট কেন করা হয়



এলার্জি টেস্ট এর নাম কি


এলার্জি সনাক্তকরণের জন্য সিরাম আইজিই টেস্ট করা হয়। 



সিরাম আইজিই টেস্ট কি


সিরাম আইজিই ( Serum IgE) টেস্ট হলো রক্তের একটি টেস্ট। যার মাধ্যমে শরীরে এলার্জির পরিমাণ বা পরজীবী সংক্রমণের উপস্থিতি সনাক্তকরণ করা হয়।



সিরাম আইজিই টেস্ট কেন করা হয়


১.শরীরে এলার্জির পরিমাপ করার জন্য সিরাম আইজিই টেস্ট করা হয়।


২.শরীরে পরজীবী ব্যাক্টেরিয়া বা ভাইরাসের সংক্রমণ সনাক্তকরণের জন্য আইজিই টেস্ট করা হয়।


৩.শরীরে ফাঙ্গাস এর সংক্রমণ সনাক্তকরণের জন্য সিরাম আইজিই টেস্ট করা হয়।


৪.চর্মরোগ এর সমস্যা দেখা দিলেও সিরাম আইজিই টেস্ট করা হয়।



আইজিই বেশি হলে কি হয়


আইজিই বেশি হলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।


১.অতিরিক্ত হাঁচি হওয়া।


২.সমস্ত শরীরে চুলকানি হওয়া।


৩.শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেওয়া।


৪.গলার ভিতরে চুলকানি হওয়া।


৫.মুখ গলা ফুলে যাওয়া।


৬.ত্বকে বিভিন্ন ধরনের ফুসকুড়ি দেখা দেওয়া।


৭.চোখে চুলকানি হওয়া বা চোখ দিয়ে পানি পড়া।


৮.বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।


৯.বুকে চাপ দেওয়া বা বুক ভারী হয়ে যাওয়া।


শরীরে আইজিইর পরিমাণ বেশি হলে উপরোক্ত সমস্যাগুলি দেখা দেয়।



আইজিই কমানোর উপায়


১.আইজিই কমানোর জন্য এলার্জির যুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে।


২.যত সম্ভব ধুলাবালি এড়িয়ে চলতে হবে।


৩.বেশি মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।


৪.ধূমপান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।


৫.অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।


৬.ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।


৭.নিয়মিত ব্যায়াম বা শারীরিক চর্চা করতে হবে ।


৮.খাবারে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে ।


৯.আইজিই কমানোর জন্য টক দই খাওয়া যেতে পারে।


১০.প্রতিদিন গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।



সিরাম আইজিই এর স্বাভাবিক পরিসীমা


একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের সিরাম আইজিই এর স্বাভাবিক পরিসীমা < 100 IU/ml এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরে স্বাভাবিক পরিসীমা < 120 IU/ml.



সিরাম আইজিই টেস্ট খরচ কত বাংলাদেশে


সিরাম আইজিই টেস্ট করতে যেকোনো সরকারি হাসপাতালে ৩০০ -৫০০ টাকা এবং যেখানে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা হাসপাতালে ১৩০০ -১৫০০ টাকার মতো খরচ হতে পারে।



রক্তে এলার্জি থাকলে কি কি খাওয়া যাবে না


শরীরে এলার্জি সমস্যা দেখা দিলে বিভিন্ন ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। এ সময় ডিম, দুধ, পুঁইশা, বেগুন, ঢেরস, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, সয়াবিন, জেলফিস, মাছ, চিংড়ি, ইলিশ, কাঁকড়া, শামুক, তিল ইত্যাদি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।



সর্বোপরি এলার্জি আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। অতিরিক্ত এলার্জির কারণে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় ।এছাড়াও অতিরিক্ত এলার্জির কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই আমাদের শরীরে যাতে এলার্জি পরিমাণ স্বাভাবিক থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

Tags:

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)