হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রোফোরেসিস টেস্ট খরচ

Pathology Knowledge
By -
0

 হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রোফোরেসিস টেস্ট খরচ


আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিন একটি গুরুত্বপূর্ণ রক্তের উপাদান। এই হিমোগ্লোবিনের মাধ্যমে সমস্ত শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ হয়। কিন্তু অনেক সময় এই হিমোগ্লোবিন ভুল পদ্ধতিতে উৎপন্ন হয়। যার ফলে সঠিকভাবে অক্সিজেন বহন করতে পারেনা।


তাই এই হিমোগ্লোবিন পরিমাপ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের টেস্ট করা হয়। তার মধ্যে একটি হলো হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রফোরেসিস। তাই আমাদের আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রফোরেসিস কি, হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রফোরেসিস কেন করা হয়, হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রফোরেসিস এর কাজ কি, হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রোফোরেসিস করতে কতদিন লাগে এবং হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রোফোরেসিস টেস্ট খরচ সম্পর্কে।


হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রোফোরেসিস টেস্ট খরচ


আমরা আজ এই আর্টিকেল আলোচনা করব হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রোফোরেসিস টেস্ট খরচ



হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রফোরেসিস কি


হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রফোরোসিস টেস্ট হলো একটি রক্তের টেস্ট। যার মাধ্যমে  রক্তের ভিতরে থাকা বিভিন্ন ধরনের হিমোগ্লোবিন পরিমাপ করা হয়।



হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রফোরেসিস কেন করা হয়



১.থ্যালাসেমিয়ার সমস্যা নির্ণয় করার জন্য হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রফোরেসিস টেস্ট করা হয়।


২.অ্যানিমিয়ার সমস্যা নির্ণয় করার জন্য হিমোগ্লোবিন ইলেক্ট্রফরেসিস টেস্ট করা হয়।


৩. শরীরে অতিরিক্ত ব্যথা বা সিকেল রোগ নির্ণয় করার জন্য হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রনিক্স টেস্ট করা হয়।


৪.রুটিন চেকাপের জন্য হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রোফরিসিস টেস্ট করা হয়।


৫.বাচ্চাদের বৃদ্ধি জনিত সমস্যা নির্ণয় করার জন্য হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রোফরিসিস টেস্ট করা হয়।



হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রফোরেসিস এর কাজ কি


হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রফোরসিসের অন্যতম প্রধান কাজ হলো রক্তের ভিতরে থাকা বিভিন্ন ধরনের হিমোগ্লোবিন পরিমাপ করা এবং ভুল পদ্ধতিতে উৎপন্ন হওয়া হিমোগ্লোবিনগুলো সনাক্ত করা।



হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রোফোরেসিস করতে কতদিন লাগে



হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রোফরসিস টেস্ট করতে ১ ঘন্টা সময় লাগে। তবে ব্লাড কালেকশন এবং প্রসেসিং করতে ১-২ ঘন্টা সময় লাগে। রিপোর্ট হাতে পেতে ১- ২ দিন সময় লাগতে পারে।



হিমোগ্লোবিন ইলেক্ট্রোফোরেসিস কত ধরনের



হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রফোরোসিস চার ধরনের হয়ে থাকে।


১.নরমাল হিমোগ্লোবিন(Normal hemoglobin):হিমোগ্লোবিন এ [Hemoglobin (Hgb) A],  হিমোগ্লোবিন এফ [Hemoglobin (Hgb) F].


২.এবনরমাল হিমোগ্লোবিন(Abnormal hemoglobin):হিমোগ্লোবিন এস [ Hemoglobin (Hgb) S],হিমোগ্লোবিন সি[Hemoglobin (Hgb) C] এবং হিমোগ্লোবিন ই[Hemoglobin (Hgb) E].


৩. হিমোগ্লোবিন ডি (Hemoglobin D )


৪.হিমোগ্লোবিন ই (Hemoglobin E)



হিমোগ্লোবিন ইলেক্ট্রোফোরেসিস এর নরমাল রেঞ্জ



হিমোগ্লোবিন ইলেক্ট্রোফোরেসিস নরমাল রেঞ্জ প্রাপ্তবয়স্কদের এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের ভিন্ন। নিচে নরমাল রেঞ্জ দেওয়া হলঃ  


প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেঃ

  • Hemoglobin (Hgb) A 1 : 95-98%
  • Hemoglobin (Hgb) A2 : 2-3%
  • Hemoglobin (Hgb) F: 0.8-2.0%
  • Hemoglobin (Hgb) S: 0%
  • Hemoglobin (Hgb) C: 0%
  • Hemoglobin (Hgb) E:  0%

অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেক্ষেত্রে

  • Hemoglobin (Hgb) F [নবজাতক]: 50% to 80% (0.5 to 0.8)
  • Hemoglobin (Hgb) F [৬ মাস]: 8%
  • Hemoglobin (Hgb) F [৬ মাসের বেশি]: 1% to 2%



হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রোফোরেসিস টেস্ট খরচ 




হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রোফোরেসিস টেস্ট করতে যেকোনো বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা হাসপাতালে ২০০০ -৩০০০ টাকার মতো খরচ হতে পারে।




সর্বোপরি হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রোফোরেসিস টেস্ট করা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । কারণ এটি আমাদের শরীরে ভুল পদ্ধতিতে উৎপন্ন হিমোগ্লোবিন গুলো শনাক্ত করে। যা আমাদের শরীরে সঠিক পরিমাণে অক্সিজেন বহন করতে পারে না। তাই আমাদের রুটিন চেকআপের জন্য প্রতি তিন মাস অন্তর হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রোফোরেসিস টেস্ট করা উচিত।
Tags:

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)