সিবিসি টেস্ট খরচ বাংলাদেশ
রক্ত আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। রক্তের ভিতরে থাকা হিমোগ্লোবিন আমাদের শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ কাজে সাহায্য করে। অনেক সময় এই রক্তে বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন হয়। আর এই ইনফেকশন নির্ণয় করার জন্য সিবিসি টেস্ট করা হয়। তাই আমাদের আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন সিবিসি টেস্ট কি, সিবিসি টেস্ট কেন করা হয়, সিবিসি টেস্ট কিভাবে করা হয়, সিবিসি টেস্ট কি খালি পেটে করতে হয় এবং সিবিসি টেস্ট খরচ বাংলাদেশ সম্পর্কে।
আমরা আজ এই আর্টিকেলে আলোচনা করব সিবিসি টেস্ট খরচ বাংলাদেশ
সিবিসি টেস্ট কি
সিবিসি(CBC-Complete Blood Count) টেস্ট হলো এমন একটি হেমাটোলজিক্যাল টেস্ট। যার মাধ্যমে শরীরে যেকোনো ধরনের ইনফেকশন, অ্যানিমিয়া, লিউকেমিয়া বা যেকোনো ধরনের সংক্রামক ব্যাধি নির্ণয় করা হয়।
সিবিসি টেস্ট কেন করা হয়
শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ নির্ণয় করার জন্য সি বি সি টেস্ট করা হয়।
১.রক্তের লোহিত রক্তকণিকার (RBC-Red blood cells) মধ্যে থাকা হিমোগ্লোবিন (Hemoglobin) যা শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করে। সিবিসি টেস্টের মাধ্যমে এই হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ নির্ণয় করা হয়। হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার কারণে অ্যানিমিয়া বা হিমোগ্লোবিন বেড়ে যাওয়ার কারণে পলিসাইথেমিয়া সমস্যা দেখা দেয় । তাই অ্যানিমিয়া ও পলিসাইথেমিয়া সমস্যা নির্ণয় করার জন্য চিকিৎসা সিবিসি টেস্ট করতে দেন।
২.রক্তের মধ্যে থাকা শ্বেত রক্তকণিকা (WBC-White blood cells). যা শরীরের জীবাণু বৃদ্ধির লড়াই করে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আর এই শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ নির্ণয় করার জন্য সিবিসি টেস্ট করা হয়। এছাড়াও শ্বেত রক্তকণিকার বেড়ে যাওয়ার কারণে লিউকেমিয়া সমস্যা দেখা দেয়। আর এ সমস্যা নির্ণয় করার জন্য সিবিসি টেস্ট করা হয়।
৩.রক্তের ভিতরে থাকা এমসিএইচ (MCH). যা রক্তে থাকা লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ নির্দেশ করে। আর এই এমসিএইচ নির্ণয় করার জন্য সিবিসি টেস্ট করা হয়।
৪.রক্তের ভিতরে থাকা এমসিভি(MCV). যার মাধ্যমে রক্তে লোহিত রক্ত কণিকার আয়তন নির্ণয় করা হয়। আর এমসিভি নির্ণয় করার জন্য সিবিসি টেস্ট করা হয়।
৫.রক্তের ভিতরে থাকা এমসিএইচসি(MCHC). যার মাধ্যমে রক্তের লোহিত রক্ত কণিকার ঘনত্ব নির্ণয় করা হয়। আর এমসিএইচসি নির্ণয় করার জন্য সিবিসি টেস্ট করা হয়।
৬.রক্তের ভিতরে থাকা প্লাটিলেট (Platelets). যা শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার কাজে সাহায্য করে। আর এই প্লাস্টিলেট নির্ণয় করার জন্য সিবিসি টেস্ট করা হয়।এছাড়াও ডেঙ্গু জ্বরের কারণে প্লাটিলেট কমে যায়। আর তাই ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ দেখা দিলে সিবিসি টেস্ট করা হয়।
৭.রক্তের ভিতর থাকা ইএসআর(ESR). যা শরীরের ভিতরে ইনফেকশন আছে কিনা তা নির্ণয় করে। আর এই ইএসআর নির্ণয় করার জন্য সিবিসি টেস্ট করা হয়।
সিবিসি টেস্ট কিভাবে করা হয়
সিবিসি হল রক্তের একটি পরীক্ষা । আর এই পরীক্ষা করার জন্য রক্তের প্রয়োজন। তাই হাতের শিরা থেকে রক্ত সংগ্রহ করে এন্টিকুয়াগুলেন্ট সমৃদ্ধ টিউবে সংগ্রহ করা হয় এবং পরে তা পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হয়।
সিবিসি টেস্ট কি খালি পেটে করতে হয়
সিবিসি টেস্ট যেকোনো সময় করা যায়। খালি পেটে যে করতে হবে এমন কোন নিয়ম নাই।
সিবিসি টেস্ট খরচ বাংলাদেশ
সিবিসি টেস্ট করার জন্য সরকারি যেকোনো হাসপাতালে ১৫০ -৩০০ টাকা এবং বেসরকারি যেকোনো ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা হাসপাতালে ৫০০ -১০০০ টাকা খরচ হতে পারে।
সর্বোপরি সিবিসি টেস্ট করা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সিবিসির মাধ্যমে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক রোগ বা ইনফেকশন নির্ণয় করা হয়।তাই আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য সিবিসি টেস্ট করা খুবই জরুরী। আর আমরা যদি জানতে পারে এই সিবিসি টেস্ট করার জন্য কত টাকা খরচ হতে পারে । তাহলে আমাদের এই টেস্ট করাতে সহজ হয়।
Post a Comment
0Comments