এন্টি-সিসিপি টেস্ট কেন করা হয়
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষেরই শরীরের জয়েন্টে ফোলা বা ব্যাথা অনুভূত হয়।কিন্তু অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না যে কোন রোগের জন্য জয়েন্টে ব্যথা অনুভূত হয়।
মূলত রিউমেটিক আর্থ্রাইটিস এর কারণে শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা অনুভূত হয়। রিউমেটিক আর্থ্রাইটি সনাক্ত করার জন্য এন্টি-সিসিপি নামক একটি টেস্ট করা হয়। কিন্তু আমরা অনেকেই এই টেস্টটি সে সম্পর্কে জানিনা। তাই আমাদের আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন এন্টি-সিসিপি টেস্ট কি, এন্টি-সিসিপি টেস্ট কেন করা হয়, এন্টি-সিসিপি বেশি হওয়ার কারণ, এন্টি-সিসিপি বেশি হলে কি হয়,এন্টি-সিসিপি অ্যান্টি বডি স্বাভাবিক মাত্রা কত এবং এন্টি-সিসিপি টেস্ট খরচ কত বাংলাদেশ সম্পর্কে।
আমরা আজ এই আর্টিকেল আলোচনা করব এন্টি-সিসিপি টেস্ট কেন করা হয়
এন্টি-সিসিপি টেস্ট কি
আন্টি-সিসিপি (Anti-CCP) টেস্ট হলো এক রক্তের একটি পরীক্ষা যার মাধ্যমে শরীরে রিউমেটিক আর্থাইটিস সূচক অ্যান্টিবডি গুলো পরিমাপ করা হয়।এই টেস্টকে এন্টি-সাইক্লিক সিট্রুলিনেটেড পেপটাইড বলা হয়।
এন্টি-সিসিপি টেস্ট কেন করা হয়
১.শরীরে যেকোনো জয়েন্টে ফোলা ভাব দেখা দিলে এন্টি-সিসিপি টেস্ট কেন করা হয়।
২.শরীরের যেকোনো জয়েন্টে প্রচন্ড ব্যথা অনুভূত হলে এন্টি-সিসিপি টেস্ট কেন করা হয়।
৩.রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের সমস্যা থাকলে এন্টি-সিসিপি টেস্ট কেন করা হয়।
৪.শরীরে প্রদাহজনিত রোগ নির্ণয় করার জন্য এন্টি-সিসিপি টেস্ট করা হয়।
এন্টি-সিসিপি বেশি হওয়ার কারণ
শরীরে রিমাটাইড আর্থ্রাইটিস সূচক এন্টিবডি গুলো উচ্চতর হওয়ার কারণে এন্টি-সিসিপি বেশি হয় বা শরীরে প্রদাহজনিত সমস্যা বেশি হলে এন্টি-সিসিপি বেশি হয়।
এন্টি-সিসিপি বেশি হলে কি হয়
এন্টি সিসিপি বেশি হলে শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে প্রচন্ড ব্যথা, ফোলা বা কঠোরতা অনুভূত হয়। পরবর্তীতে এটি জয়েন্টের মারাত্মক ক্ষতির সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
এন্টি-সিসিপি কমানোর উপায়
এন্টি-সিসিপি কমানোর একমাত্র উপায় হল ডাক্তার দেখানো এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা। কারণ এই ওষুধগুলো এন্টি-সিসিপির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
এন্টি সিসিপি পরীক্ষার জন্য কত সময় লাগে
এন্টি-সিসিপি টেস্ট করতে ১৫ -২০ মিনিট সময় লাগে। তবে ব্লাড স্যাম্পল কালেকশন করে প্রসেসিং করতে কমপক্ষে ১ - ২ ঘন্টা সময় লাগে।
এন্টি-সিসিপি অ্যান্টি বডি স্বাভাবিক মাত্রা কত
শরীরে এন্টি-সিসিপি স্বাভাবিক মাত্রা < 5.00 u/ml.এন্টি-সিসিপির মাত্রা 5 এর উপরে উঠলে রিমাটাইড আর্থ্রাইটিস ধরা হয় এবং 5 এর নিচে থাকলে নরমাল দ্বারা হয়।
এন্টি-সিসিপি টেস্ট খরচ কত বাংলাদেশ
বর্তমানে বাংলাদেশের যেকোনো ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা হাসপাতালে এন্টি-সিসিপি টেস্ট করতে ২০০০ -৩০০০ টাকার মতো খরচ হতে পারে।
সর্বোপরি এন্টি-সিসিপি টেস্ট করা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর মাধ্যমে আমাদের শরীরে রিমাটাইড আর্থ্রাইটিস সনাক্ত করা হয়। তাই আমাদের হাত-পা বা শরীরে যেকোনো জয়েন্টে ব্যথা অনুভূত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এন্টি-সিসিপি পরীক্ষা করা উচিত।
Post a Comment
0Comments