ক্রমাগত শুকনো কাশি কোন রোগের লক্ষণ
আমাদের প্রায় সময়ই কাশির সমস্যা লেগেই থাকে। এর ভিতরে শুকনো কাশির সমস্যা বেশি দেখা দেয়। বিভিন্ন কারণে এই শুকনো কাশির সমস্যা দেখা দিতে পারে।পরবর্তীতে এই শুকনো কাশি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। তাই আমাদের আজকে এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন শুকনো কাশি কেন হয়, ক্রমাগত শুকনো কাশি কোন রোগের লক্ষণ, ক্রমাগত শুকনো কাশি থেকে মুক্তির উপায় এবং শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ঔষধ সর্ম্পকে।
আমরা আজ এই আর্টিকেলে আলোচনা করব ক্রমাগত শুকনো কাশি কোন রোগের লক্ষণ
শুকনো কাশি কেন হয়
বিভিন্ন কারণে শুকনো কাশির সমস্যা দেখা দিতে পারে।নিচে কারণগুলো দেওয়া হলঃ
১.ঠান্ডা জনিত কারণে কাশির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
২.শ্বাসনালী ভাইরাসের সংক্রমনের ফলে শুকনো কাশি দেখা দিতে পারে।
৩.ফুসফুসের সমস্যা জনিত কারণেও শুকনো কাশির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৪.শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে ধুলাবালি ঢুকলে শুকনা কাশি বা এলার্জি কাশির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৫.ধূমপানের কারণে শুকনো কাশির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৬.গ্যাস্ট্রিক আলসারের কারণে শুকনো কাশির সমস্যা হতে পারে।
ক্রমাগত শুকনো কাশি কোন রোগের লক্ষণ
শরীরে বিভিন্ন রোগের লক্ষণ হিসেবে কাশি সমস্যা দেখা দিতে পারে।নিচে কোন কোন রোগের লক্ষণ হিসেবে কাছে সমস্যা দেখা দিতে পারে তা দেওয়া হলঃ
১. ক্রমাগত শুকনো কাশি যক্ষা রোগের লক্ষণ হতে পারে।
২.ফুসফুসে ইনফেকশন বা ফুসফুস ক্যান্সার ক্রমাগত শুকনো কাশির লক্ষণ হতে পারে।
৩.পাকস্থলী ক্যান্সার অনেক সময় ক্রমাগত শুকনো কাশির লক্ষণ হতে পারে।
৪.শ্বাসনালীতে সমস্যা বা অ্যাজমার সমস্যা ক্রমাগত শুকনো কাশির লক্ষণ হতে পারে।
উপরোক্ত রোগের লক্ষণ হিসেবে শুকনো কাশি দেখা দিতে পারে। তাই শুকনো কাশি দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
ক্রমাগত শুকনো কাশি থেকে মুক্তির উপায়
১.ভাপ নেওয়াঃ ক্রমাগত কাশি হলে গরম পানির ভাপ নিলে কিছুটা আরাম পাওয়া যায়।
২.গার্গল করাঃ শুকনো কাশি কমানোর জন্য গরম পানিতে লবণ দিয়ে গার্গল করলে কাশি কমে।
৩.মধুঃ মধু কাশি নিরাময় করার জন্য বেশ উপকারী।প্রতিদিন এক চামচ মধু খেলে শুকনো কাশি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
৪.আদাঃ আদা শুকনো কাশি কমানোর জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। পানিতে আদা দিয়ে ফুটিয়ে তারপর সেটাকে ঠান্ডা করে খেলে কাশি নিরাময় হয়।
৫.তুলসী পাতাঃ তুলসী পাতা কাশি নিরাময়ের জন্য তুলসীপাতা বেশ উপকারি। তুলসী পাতার চা খেলে দ্রুত শুকনো কাশি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
৬.মশলা চাঃ ক্রমাগত শুকনো কাশি হলে মশলা চা খাওয়া যেতে পারে। বিভিন্ন রকমের মসলা যেমন- আদা, গোলমরিচ, লবঙ্গ, তেজপাতা, দারচিনি, এলাচ দিয়ে চা বানিয়ে খেলে কাশি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
৭.হলুদঃ হলুদ শুকনো কাশি কমাতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। এক কাপ পানিতে হলুদ দিয়ে পানি ফুটিয়ে তারপর সেটাকে ঠান্ডা করে পান করতে হবে। এর ফলে শুকনো কাশি কমে যাবে।
৮.রসুনঃ রসুন ক্রমাগত শুকনো কাশি কমাতে সাহায্য করে। এক কাপ পানিতে কয়েক কোয়া রসুন ফুটিয়ে নিন তারপর সেটাকে ঠান্ডা করে এক চামচ মধু মিশিয়ে সেটা পান করুন। এটা আপনাকে দ্রুত শুকনো কাশি নিরাময় করতে সাহায্য করবে।
শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ঔষধ
ক্রমাগত শুকনো কাশির সমস্যা দেখা দিলে ট্যাবলেট ”মন্টেলুকাস্ট (Montelukast)”, ”ফেক্সোফেনাডিন (Fexofenadine)” গ্রুপের ঔষধ খাওয়া যেতে পারে এছাড়াও শুকনো কাশি বা কফ এর জন্য ”এডোভাস ”এবং ”মিরাকফ” সিরাপ খাওয়া যেতে পারে ।
সর্বোপরি ক্রমাগত শুকনো কাশি সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে বাধা সৃষ্টি করে। এই শুকনো কাশির ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি হয়। যার ফলে পরবর্তীতে জীবন হুমকির মুখে ফেলে দেয়। তাই আমাদের শুকনো কাচের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
Post a Comment
0Comments