আমিষ জাতীয় খাবারের অপকারিতা
শরীর গঠনের জন্য আমিষ জাতীয় খাবার খুবই প্রয়োজন।কিন্তু আমরা অনেকেই আমি জাতীয় খাবার সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানিনা। তাই আমাদের আজকের পোষ্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন আমিষ জাতীয় খাবারের কাজ কি, আমিষ জাতীয় খাবারের উপকারিতা, আমিষ জাতীয় খাবারের তালিকা এবং আমিষ জাতীয় খাবারের অপকারিতা সম্পর্কে।
আমরা আজকে আর্টিকেলে আলোচনা করব আমিষ জাতীয় খাবারের অপকারিতা
আমিষ জাতীয় খাবারের কাজ কি
আমিষ জাতীয় খাবার আমাদের সুস্থ থাকার জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে। নিচে আমিষ জাতীয় খাবারের কাজ কি কি দেওয়া হলো:
১. আমিষ জাতীয় খাবার শরীলে শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে।
২.আমিষ জাতীয় খাবার শরীর গঠন করতে সাহায্য করে।
৩.আমিষ জাতীয় খাবার শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সাহায্য করে।
৪. আমিষ জাতীয় খাবার মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে।
৫.আমিষ জাতীয় খাবার শরীরে ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে।
৬.আমিষ জাতীয় খাবার শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
৭.আমিষ জাতীয় খাবার শরীরে এন্টিবডি আরএনএ (RNA) এবং ডিএনএ (DNA) তৈরি করতে সাহায্য করে।
আমিষ জাতীয় খাবারের উপকারিতা
আমিষ জাতীয় খাবারের অনেক ধরনের উপকারিতা আছে। আমিষ জাতীয় খাবারের অভাবে নানা ধরনের সমস্যা শরীরে দেখা দিতে পারে তাই আমাদের সব সঠিক পরিমাণে আমিষ জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে।
১.আমিষ জাতীয় খাবার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
২.আমিষ জাতীয় খাবার শিশুদের দেহের বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
৩.আমিষ জাতীয় খাবার শরীরে চুল, নখ, দাঁত, হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
৪.আমিষ জাতীয় খাবার শরীরে তাপ উৎপাদন এবং নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
আমিষ জাতীয় খাবারের তালিকা
আমরা অনেকেই জানিনা কোন কোন খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে আমিষের উপস্থিতি থাকে। তাই নিচে আমিষ জাতীয় খাবারের তালিকা দেওয়া হলো:
১.মাংস: যেকোনো ধরনের মাংস শরীরে আমিষের চাহিদা পূরণ করে।এছাড়াও হাঁস মুরগির মাংসে চর্বির পরিমাণ কম থাকে এবং আমিষের পরিমাণ বেশি থাকে।
২.ডিম: ডিম আমিষের প্রধান উৎস। ডিমে প্রচুর পরিমাণে আমিষ পাওয়া যায়। যা শরীরে আমি সে চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে। এছাড়া ও ডিমের সাদা অংশ সব থেকে বেশি আমিষের চাহিদা পূরণ হয়।
৩.দুধ: দুধ আমিষের আরেকটি প্রধান উৎস। দুধে প্রচুর পরিমাণে আমিষ থাকে। যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এবং খাবার পরিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করে।
৪.মাছ: সামুদ্রিক মাছ শরীরে আমিষের চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও সামুদ্রিক মাছে আছে ওমেগা থ্রি যা শরীরে মস্তিষ্ক বিকাশে সাহায্য করে।
৫.শস্যদানা: শস্য দানা যেমন- ভুট্টা,ধান, গম ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে আমিষ থাকে। এটা শরীরে আমিষের চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে যদি ভুট্টা জাতীয় খাবার খাওয়া হয়। তাহলে শরীরে অনেকাংশে আমিষের চাহিদা পূরণ হয়।
৬.বাদাম: বাদাম জাতীয় খাবার আমিষের চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও বাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ফ্যাটি এসিড, খনিজ পদার্থ বিদ্যমান থাকে। যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
৭.বীজ জাতীয় খাবার: বীজ জাতীয় খাবার যেমন- সিমের বীজ, তিলের বীজ, সূর্যমুখের বীজ, কুমরোর বীজ ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে আমিষ থাকে। যা শরীরে আমি সেটা চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে।
৮.এছাড়াও কাঁঠাল, লিচু, তরমুজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে থাকে। যা শরীরে আমি সে চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় এই ফলগুলো রাখলে তার আমিষের অভাব হয় না।
আমিষ জাতীয় খাবারের অপকারিতা
আমিষ জাতীয় খাবারের উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতা ও আছে নিচে আমিষ জাতীয় খাবারের কিছু অপকারিতা দেওয়া হল:
১.চাহিদা তুলনায় অতিরিক্ত আমিষ জাতীয় খাবার গ্রহণ করলে রক্তে চর্বির পরিমাণ বেড়ে যায়। যার ফলে পরবর্তীতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
২.এছাড়াও অতিরিক্ত আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।
৩.অতিরিক্ত আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে শ্বাসনালীতে চর্বি জমতে পারে। যার ফলে পরবর্তীতে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৪.সঠিক পরিমাণে আমিষ জাতীয় খাবার গ্রহণের ফলে মস্তিষ্কে বিকাশ ঘটে। তবে যদি চাহিদা তুলনায় বেশি আমিষ জাতীয় খাবার গ্রহণ করা হয় । তাহলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৫.অতিরিক্ত আমিষ জাতীয় খাবার গ্রহণের ফলে অনেক সময় তাদের আয়ু কমে যায় এবং শরীরে দীর্ঘমেয়াদি রোগের সৃষ্টি হয়।
৬.অতিরিক্ত আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে শরীরে উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগ সৃষ্টি হতে পারে।
সর্বোপরি আমিষ শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাই আমাদের প্রতিদিন খাবারের তালিকায় আমিষ জাতীয় খাবার রাখা উচিত। যাতে আমাদের শরীর সঠিকভাবে গঠন ও বিকাশ করতে পারে।
Post a Comment
0Comments