থাইরয়েড টেস্ট কেন করা হয়
থাইরয়েড হল মানুষের শরীরের একটি গ্রন্থি ।যেটা দেখতে কিছুটা প্রজাপতির মত । এই থাইরয়েড গ্রন্থি মানুষের শরীরে হরমোন তৈরি করে।
আমরা আজ এই পোস্টে আলোচনা করব থাইরয়েড টেস্ট কেন করা হয়
থাইরয়েড টেস্টের লক্ষণ
১.হঠাৎ করেই ওজন হ্রাস বা বৃদ্ধি পাওয়া
২.ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেও যখন ওজন নিয়ন্ত্রণে না আসা।
৩.অল্প পরিশ্রম করে অতিরিক্ত ক্লান্তি বোধ হওয়া।
৪.মেজাজ অতিরিক্ত খিটখিটে হয়ে যাওয়া।
৫.অনিয়মিত মাসিক হওয়া।
৬.অতিরিক্ত মাসিক হওয়া বা বন্ধত্ব হওয়া।
৭.মাঝে মাঝে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া।
৮.শরীরের মাংসপেশিতে ব্যথা অনুভব হওয়া বা পায়ের তলায় জ্বালাপোড়া করা।
৯.ত্বক শুষ্ক হওয়া অতিরিক্ত চুল পড়া।
থাইরয়েড কত ধরনের
থাইরয়েড মূলত দুই ধরনের।
১.হাইপোথাইরয়েডিজম
২.হাইপারথাইরয়েডিজম
১.হাইপোথাইরয়েডিজমঃ শরীরে থাইরয়েড হরমোন কমে যাওয়াকে হাইপোথাইরয়েডিজম বলে।
২.হাইপারথাইরয়েডিজমঃ শরীরে থাইরয়েড হরমোন বেড়ে যাওয়াকে হাইপারথাইরয়েডিজম বলে।
থাইরয়েড টেস্ট এর নাম
বিভিন্ন ধরনের থাইরয়েড টেস্ট হয়
- T3 T4 TSH
- Ft3 Ft4
- Prolactin
- AMH,FSH, LH
থাইরয়েড টেস্ট কি খালি পেটে করতে হয়
না, থাইরয়েড টেস্ট যেকোনো সময় ব্লাড দিয়ে টেস্ট করা যায়। থাইরয়েড টেস্টের জন্য খালি পেটে থাকা লাগে না।
থাইরয়েড কমানোর ঘরোয়া উপায়
কিছু কিছু খাবারের মাধ্যমে আমরা থাইরয়েড কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি।
১.আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার (খাওয়ার ফলে থাইরয়েডকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
২.সয়া একটি উপকারী খাবার যা থাইরয়েড বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে।
৩.কিছু কিছু ফল যেমনঃ আপেল, বেরি, কমলা, কলা ইত্যাদি থাইরয়েড কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
সর্বোপরি নিয়মিত খাদ্যাভাস ও ব্যায়ামের মাধ্যমে আমরা আমাদের নিজেদের শরীরের থাইরয়েড কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি।
Post a Comment
0Comments