ডায়াবেটিসের জন্য কোন সময় কি টেস্ট করতে হয়
এখন বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। মূলত আমাদের শরীরে ইনসুলিন নামক একটা হরমোনের কারণে ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। ডায়াবেটিস মূলত দুই ধরনের টাইপ ১ এবং টাইপ ২। টাইপ ১ডায়াবেটিস মূলত বংশগতভাবে হয়ে থাকে এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস মূলত যারা অনিয়মিত জীবন যাপন করে তাদের হয়ে থাকে। এই ডায়াবেটিস রোগটি শনাক্তকরণের জন্য আমাদের কিছু টেস্ট করার প্রয়োজন।
প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা যদি RBS টেস্ট করাই তাহলে আমাদের শরীরে ডায়াবেটিস আছে কিনা সেটা জানতে পারি পারব। এই RBS টেস্ট আমরা যেকোনো সময় করতে পারি। ডায়াবেটিস শনাক্তকরণের জন্য সবথেকে বেস্ট পরীক্ষা হল OGTTএই পরীক্ষাটির জন্য একজন মানুষকে তিনবার ব্লাড স্যাম্পল দিতে হয়।প্রথমটি হচ্ছে FBS যেটা একটি রোগীকে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা না খেয়ে থাকার পরে এই স্যাম্পলটি দিতে হয়,তারপরে ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ শরবত পান করার এক ঘন্টা পর দ্বিতীয় স্যাম্পলটি দিতে হয় এবং সর্বশেষ ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ শরবত খাওয়ার দুই ঘন্টা পর শেষ স্যাম্পলটি দিতে হয় এবং এর মাধ্যমে আমরা সঠিকভাবে শরীরে ডায়াবেটিসের পরিমাণ কত আছে সেটা জানতে পারে।এছাড়াও আমরা FBS এবং PPBS এর মাধ্যমে ডায়াবেটিস শনাক্ত করতে পারি। FBS এ একজন রোগীকে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা না খেয়ে থাকার পরে স্যাম্পল দিতে হয় এবং PPBS এ রোগীকে খাওয়ার দুই ঘন্টা পর স্যাম্পলটি দিতে হয়।এছাড়াও এখন বিশ্বের একটি উন্নত মানের ডায়াবেটিসের পরীক্ষা হলো HbA1c যেটা একজন রোগীর ৩ মাসের ডায়াবেটিসের গড় জানার জন্য পরীক্ষাটা করা হয়।
ডায়াবেটিসের লক্ষণ:
১.ঘন ঘন পিপাসা পাওয়া
২.শরীর শুকিয়ে যাওয়া
৩.ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া
৪. সহজে ক্ষত না শুকানো
৫.হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া
৬.শরীর দুর্বল লাগা
৭.দৃষ্টিশক্তি অস্পষ্ট হওয়া
এই লক্ষণ গুলো দেখা দিলে দ্রুত কোন হসপিটাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যে ডায়াবেটিস চেক করে দেখতে হবে ডায়াবেটিস শরীরে আছে কিনা।
সর্বোপরি সঠিক নিয়মে ডায়াবেটিস সনাক্ত করে তার যথাযথ চিকিৎসা করার মাধ্যমে ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে আমরা সুস্থভাবে সুস্থভাবে জীবন যাপন করতে পারবো।
Post a Comment
0Comments