ব্লাড ক্যান্সার ও স্কিন ক্যান্সারের লক্ষণ
ক্যান্সার একটি মরণব্যাধি রোগ। বিশ্বের অধিকাংশ মানুষই এখন এই মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে।এখন ছোট বড় সবাই এই ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।এর ভিতর ব্লাড ক্যান্সারে মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
আমরা আজ এই আর্টিকেল আলোচনা করব ব্লাড ক্যান্সার ও স্কিন ক্যান্সারের লক্ষণ
১.হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া
আপনার যদি হঠাৎ করেই ওজন কমতে শুরু করে বা কোন কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না ওজন কমার এটি ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
২.ঘন ঘন জ্বর হওয়া
আপনার যদি মনে হয় আপনার ঘন ঘন জ্বর হচ্ছে বা ওষুধ খাচ্ছেন জ্বর কমছে না তাহলে এটি ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে এর জন্য অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের সংরক্ষণ করতে হবে।
৩.খাবারের অরুচি
ক্ষুধা পাচ্ছে কিন্তু খেতে ইচ্ছা করছে না এটিও ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
৪.শারীরিক দুর্বলতা
দীর্ঘদিন শারীরিক দুর্বলতাও ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। এছাড়াও বুক ধরফর করা,পায়ে পানি জমা হওয়া ও ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে এসব লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুতই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
৫.ফ্যাকাসে ত্বক
ব্ল্যাক ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে ত্বক ফ্যাকাসে হয়ে যা যাওয়া।এর ফলে শরীরে ব্লাড সেলগুলো অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে।
স্কিন ক্যান্সারের লক্ষণ
- ক্ষত ভালো না হওয়া: শরীরের কোথাও কোন ক্ষত দীর্ঘদিন যাবত ভালো না হওয়াও স্কিন ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। এছাড়াও স্কিনে অস্বাভাবিক তিলের উপস্থিতি ও ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।তিল যদি অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে বা এর রং পরিবর্তন হতে থাকে তাহলে এটি স্কিন ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে এর জন্য দ্রুতই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
ব্লাড ক্যান্সার কেন হয়
ব্লাড ক্যান্সার কেন হয় তার সুস্পষ্ট কোন ধারণা পাওয়া যায়নি তবে এটি শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা দেয়। এটিকে আমরা মূলত লিউকোমিয়া অর্থাৎ শরীরের শ্বেত রক্তকণিকার অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে রেডিয়েশন, বিষাক্ত বজ্র পদার্থ, রাসায়নিক পদার্থ, কেমিক্যাল,ভেজাল খাবার, ব্লাড ক্যান্সারের মাত্রাকে বাড়িয়ে দিতে পারে।
সর্বোপরি বলতে পারি বাংলাদেশে ক্যান্সারের চিকিৎসা একটি ব্যয়বহুল চিকিৎসা একটি সতর্কতা অবলম্বন করলেই এই ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি
Post a Comment
0Comments